আম্পানে মেরামত হয়নি বাঁধ, জোয়ারেই ডুবে গেছে সাতক্ষীরা উপকূল (ভিডিও)
আম্পানের পর এবার অমাবস্যার জোয়ার সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের জীবনে। আগ্রাসী খোলপেটুয়া নদীর লোনা পানিতে সয়লাব সবকিছু। চিংড়ির ঘের প্লাবিত হবার পাশাপাশি ছোট ছোট গ্রামগুলো পরিণত হয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে। বাগেরহাটেও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মৎস্য ঘেরসহ ফসলের জমি।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা উপকূলে ভেঙে যাওয়া বেড়ি বাঁধগুলো তিনমাসেও মেরামত হয়নি। প্রতিনিয়ত লোনা পানির সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের। নতুন করে টানা বৃষ্টি আর অতি জোয়ারে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত রিং বাঁধটিও ভেঙে যাওয়ায় মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গত এসব এলাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
এলাকাবাসী জানান, টেকসই বেড়ি বাঁধ না থাকায় কয়েক হাজার মানুষ এখন পানি বন্দী। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই পানিতে। বসবাসের উপযোগী কোনো স্থান না থাকায় এখন রাস্তায় থাকতে হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিরা জানান, টাকা জমিয়ে চিংড়ির ঘের করেছিল কিন্তু পানিতে সব ভেসে গেছে এখন পুরো নিঃস্ব। তারা জানান, বন্যায় প্রচুর পরিমাণ পানি হয়েছে যার ফলে সবকিছু ডুবে গিয়েছে এখন শুধু মানুষের মধ্যে হাহাকার।
এদিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, রামপাল, চিতলমারী ও সদর উপজেলায় মাছের শত শত ঘের তলিয়ে গেছে নষ্ট হয়েছে সবজির ক্ষেত, বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় বিপাকে রয়েছেন অনেকেই।
খুলনা বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল জানান, সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা অফিসারসে বন্যা পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে এবং ক্ষরিগ্রস্থদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হয়েছে যেন সরকারের নজরে আসে। দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করে ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দিয়েছেন এ কর্মর্কতা।
উপকূলীয় দুর্গতদের মানুষদের সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে-এমন প্রত্যাশা তাদের।
এনএম/এম
মন্তব্য করুন